শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
সাকিনা কাইউম
বাবা, তোমাকে মনে পড়লেই চোখের সামনে মায়াভরা মুখটা ভেসে ওঠে।
তোমার সাথে জড়ানো স্মৃতিটুকু আজও হৃদয়ে উত্তাপ দেয়।
ছোটবেলা থেকেই তোমার আহ্লাদী মেয়ের সকল দূরন্তপনা,
হাসতে হাসতে আদর করে যখন সামলাতে
মনে হতো, তুমি বিশালতার এক অদ্ভুত মায়াবী ছায়া।
আমার নাচতে নাচতে ছড়া, কবিতা, গল্পগুলো
পায়ের ওপর পা তুলে অবাক হয়ে শুনে, মাকে বলতে –
কই গো! দেখে যাও, মেয়েতো আমার বিশ্ব জয় করবে। মেয়েটা আমার বড্ড সাহসী হবে।
জেদ একটু বেশি, কিন্তু! এই জেদটাই ওকে এগিয়ে নেবে।
তুমি যেন তোমার চোখে দেখতে কল্পনার ভবিষ্যত।
জ্বর হলে আঙ্গুরগুচ্ছ হাতে তুলে যখন খাইয়ে দিতে,
চোখের কোণে তোমার জল এলে হেসে মুছে ফেলতে।
তোমার সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে উত্তেজনা আজো মনে পড়ে।
চুলে যখন তেল দিতে চাইতাম না, মাকে বলতে –
ছাড়োতো তেলটেল দেওয়া আমার একদমই পছন্দ নয়।
খোলা চুলেই মেয়ে আমার পরীর মতো লাগে।
আমার জন্য পরীজামা কিনে এনে পড়িয়ে বলতে –
আমার পরীমা জামাটা পরে একদম আকাশে উড়বে।
কাছে টেনে চুমু খেয়ে বলতে –
তুই একদিন বিমান চালিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারবি না?
আকাশে উড়ার স্বপ্নটা তুমিই প্রথম রঙ তুলিতে এঁকেছিলে।
তবে, তোমার অতি আদরই আমার স্বপ্নগুলোকে,
রাতের পর রাত ভেঙে দিয়েছে।
মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর,
অন্যরা যখন শহরে পাড়ি দিল!
আমাকে বললে – তুই মেয়ে মানুষ,
শহরে যেয়ে লেখাপড়া করার দরকার নেই।
স্বপন দেখিয়ে সেই তুমিই আমাকে
আলোর পথে হাঁটতে বাঁধা দিলে!
কিন্তু তুমিতো ছিলে আমার সমগ্র অভিধান!
দুনিয়ার এতো শব্দের অর্থ জানলেও, তুমি জানতে না
স্বপন দেখালে স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ খোলা রাখতে হয়।
একদিন হঠাৎ করেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়িয়ে
রাজকুমারের রাজার দেশে যখন পাঠিয়ে দিলে!
কাছে এসে আদর করে বললে – দেখ মা,
জীবনে চলতে গেলে অনেক কিছুই মানিয়ে নিতে হয়।
তবে এই কথাটা মনে রাখবি –
সাপের যদি বিষ না থাকতো,
কেউ তাকে ভয় পেতো না।
মাঝে মাঝে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য,
প্রয়োজনে ফুস করে উঠবি!
সেদিন সেই কথাটা আমার ভিতরে তেজাল শক্তি সঞ্চার করেছিল।
আজ কাছে থাকলে বলতে পাড়তাম-
তোমার মেয়ে আজ জীবনের সাথে লড়াই করতে শিখে গেছে।
তোমার সাহসী মেয়ে আজ নিজেই তার এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলে নিয়েছে।
তোমার সাথে জড়ানো স্মৃতিটুকু আজও হৃদয়ে উত্তাপ দেয়।
ছোটবেলা থেকেই তোমার আহ্লাদী মেয়ের সকল দূরন্তপনা,
হাসতে হাসতে আদর করে যখন সামলাতে
মনে হতো, তুমি বিশালতার এক অদ্ভুত মায়াবী ছায়া।
আমার নাচতে নাচতে ছড়া, কবিতা, গল্পগুলো
পায়ের ওপর পা তুলে অবাক হয়ে শুনে, মাকে বলতে-
কই গো! দেখে যাও, মেয়েতো আমার বিশ্ব জয় করবে। মেয়েটা আমার বড্ড সাহসী হবে।
জেদ একটু বেশি, কিন্তু! এই জেদটাই ওকে এগিয়ে নেবে।
তুমি যেন তোমার চোখে দেখতে কল্পনার ভবিষ্যত।
জ্বর হলে আঙ্গুরগুচ্ছ হাতে তুলে যখন খাইয়ে দিতে,
চোখের কোণে তোমার জল এলে হেসে মুছে ফেলতে।
তোমার সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে উত্তেজনা আজো মনে পড়ে।
চুলে যখন তেল দিতে চাইতাম না, মাকে বলতে-
ছাড়োতো তেলটেল দেওয়া আমার একদমই পছন্দ নয়।
খোলা চুলেই মেয়ে আমার পরীর মতো লাগে।
আমার জন্য পরীজামা কিনে এনে পড়িয়ে বলতে –
আমার পরীমা জামাটা পরে একদম আকাশে উড়বে।
কাছে টেনে চুমু খেয়ে বলতে –
তুই একদিন বিমান চালিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারবি না?
আকাশে উড়ার স্বপ্নটা তুমিই প্রথম রঙ তুলিতে এঁকেছিলে।
তবে, তোমার অতি আদরই আমার স্বপ্নগুলোকে,
দিনের পর দিন ভেঙে দিয়েছে।
মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর,
অন্যরা যখন শহরে পাড়ি দিল!
আমাকে বললে – তুই মেয়ে মানুষ,
শহরে যেয়ে লেখাপড়া করার দরকার নেই।
স্বপন দেখিয়ে সেই তুমিই আমাকে
আলোর পথে হাঁটতে বাঁধা দিলে!
কিন্তু তুমিতো ছিলে আমার সমগ্র অভিধান!
দুনিয়ার এতো শব্দের অর্থ জানলেও, তুমি জানতে না
স্বপন দেখালে স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ খোলা রাখতে হয়।
একদিন হঠাৎ করেই পঙ্খীরাজা ঘোড়ায় চড়িয়ে
রাজকুমারের রাজার দেশে যখন পাঠিয়ে দিলে!
কাছে এসে আদর করে বললে – দেখ মা,
জীবনে চলতে গেলে অনেক কিছুই মানিয়ে নিতে হয়।
তবে এই কথাটা মনে রাখবি –
সাপের যদি বিষ যদি না থাকতো,
কেউ তাকে ভয় পেতো না।
মাঝে মাঝে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য,
প্রয়োজনে ফুস করে উঠবি!
সেদিন সেই কথাটা আমার ভিতরে তেজাল শক্তি সঞ্চার করেছিল।
আজ কাছে থাকলে বলতে পারতাম-
তোমার মেয়ে আজ জীবনের সাথে লড়াই করতে শিখে গেছে।
তোমার সাহসী মেয়ে আজ নিজেই তার এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলে নিয়েছে।
© দেশবার্তা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত