সোমবার, ২৩ মে ২০২২
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রধান শিক্ষক আযহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন।
প্রধান শিক্ষক আযহারুলের কথামতো রাত দশটার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন আযহারুল। পরে বিয়ের কথা বললে আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেন। তবে ওই শিক্ষিকা বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে।
শিক্ষিকার অভিযোগ, আযহারুল বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছে। ঘর উঠানোর জন্য তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকাও নিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হবে।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত